শিক্ষার্থীদের ডিভাইস দেবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা হবে অনলাইনে
শিক্ষার্থীদের ডিভাইস দেবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা হবে অনলাইনে। মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে গত ১৬ মাস ধরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে বন্ধ।ফলে শিক্ষার্থীরা তাদের স্বাভাবিক জীবনযাপন থেকে ছিটকে পরেছে। এ অবস্থায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সেশনজট কমাতে উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। অনলাইনে ক্লাস-পরীক্ষা নিতে ছাত্র-ছাত্রীদের ডাটা ও ডিভাইস দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে বলে জানা গিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে,জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী প্রত্যন্ত অঞ্চলের। আর্থিক সমস্যা থাকায় তাদের অনলাইন পরীক্ষার ডিভাইস কেনার সামর্থ্য নেই। এছাড়াও অধিকাংশ শিক্ষার্থীর নিজস্ব ভালো ফোন নেই। এ অবস্থায় অধিভুক্ত শিক্ষার্থীদের ডিভাইস দেবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বলে জানা যায়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের যাদের ডিভাইস নেই তারা কলেজ থেকে ডিভাইস নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। তবে সেই ডিভাইস গুলো একেবারে নিয়ে নিতে পারবে না শিক্ষার্থীরা।
সূত্র থেকে আরও জানায়, যে সকল শিক্ষার্থীর অনলাইন ক্লাসের জন্য ইন্টারনেট কেনার সামর্থ্য নেই তাদের তালিকা কলেজগুলো সংগ্রহ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বরাবর আবেদন করবে।আবেদনের প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের ডাটা কিনতে টাকা দেয়া হবে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান জানান, অনলাইন ক্লাস ও পরীক্ষার বিষয়ে আমরা শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করেছি। অনেক এলাকায় ইন্টারনেট সমস্যা রয়েছে।
এছাড়া কিছু শিক্ষার্থী আছে যাদের ডাটা কেনা কষ্টকর। সেসব শিক্ষার্থীরা কলেজের মাধ্যমে আমাদের কাছে আবেদন করলে আমরা ডাটা কিনে দেব। পরীক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের ডিভাইস দেয়া প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ডিভাইস ও ডাটা কেনার জন্য আমরা কিছু বরাদ্দ রেখেছি। আমরা কিছু ডিভাইস কিনে কলেজগুলোতে দেব। যে সকল শিক্ষার্থীদের ডিভাইস থাকবে না তারা কলেজ থেকে ডিভাইস নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। পরীক্ষা শেষে সেগুলো আবার ফেরত দেবে।
এমসিকিউ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের সেশনজট মুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান তিনি। করোনা মহামারীর কারণে দীর্ঘ ১৬ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে পড়াশোনা।সকল শিক্ষার্থীরা ভীষণ দুঃশ্চিন্তায় ভুগছে।সেশনজোট থেকে মুক্তির জন্য এমন পরিকল্পনা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।আর করোনার অবস্থা যতো দিন যাচ্ছে ততো ভয়ংকর হয়ে উঠছে।
সুতরাং সবকিছু মাথায় রেখে এমন পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়ে যাওয়া উচিত।কারণ এমনিতেই সকল শিক্ষার্থীদের অনেক সেশনজটে পরতে হচ্ছে।ফলে তারা তাদের স্বাভাবিক জীবনযাপন থেকে ছিটকে পরেছে।এরকম সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাবে সকল শিক্ষার্থীরা।কারণ দীর্ঘ ১৬ মাস ধরে তাদের পড়াশোনা,ক্লাস,পরীক্ষা সবকিছু বন্ধ রয়েছে।আর আমাদের সকলের উচিত এই করোনা মহামারী থেকে রক্ষা পেতে নিজ নিজ জায়গা থেকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা।
এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা বিষয়ক তথ্য পেতে এবং বিভিন্ন ধরনের চাকরির তথ্য পেতে আমাদের সাথেই থাকুন সবসময়।