যবিপ্রবিতে পরীক্ষা শুরু ১ জুলাই । শিক্ষার্থীরা থাকতে পারবে হলেই
যবিপ্রবিতে পরীক্ষা শুরু ১ জুলাই । শিক্ষার্থীরা থাকতে পারবে হলেই।
করোনা মহামারীর কারণে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে বন্ধ। এতে শিক্ষার্থীদের জীবনযাপন হয়ে উঠেছে অস্বাভাবিক। দীর্ঘ ১৫ মাসেরও বেশি দিন ধরে করোনার কারণে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।দীর্ঘ ১৫ মাসের বেশি দিন ধরে শিক্ষার্থীরা তাদের স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারছে না। ক্লাস,পড়াশোনা এবং পরীক্ষা সকল কিছু রয়েছে বন্ধ। বর্তমান বিশ্বে মহামারী করোনার কারণে সবকিছু পিছিয়ে গেছে।এক কথায় মানুষের জীবনযাত্রার মান অনেক টায় কষ্টের হয়ে গেছে।এখন চাকরি পাওয়া সত্যি অনেক মুশকিল।
এছাড়াও পড়াশোনা বন্ধ এই লস পোষানো সম্ভব না আবার চাকরির কথা বাদই দিলাম।এমনিতেই আমাদের দেশে চাকরির অনেক মারাত্মক ভাবে অভাব। তারপরেও জীবনের এ লড়াইয়ে লড়তে হবে এবং সফলতা অর্জন করতে হবে বা ছিনিয়ে আনতে হবে। তথ্য অনুযায়ী আশার বাতির মতো জানা গেছে যবিপ্রবিতে পরীক্ষা শুরু হবে ১ জুলাই। এছাড়াও যবিপ্রবির কতৃপক্ষ জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা হলে থাকতে পারবে এবং পরীক্ষা দিতে পারবে যা বর্তমানে সময়ে একটা সাহসী সিদ্ধান্ত বলা চলে।
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা আগামী ১ জুলাই সশরীরে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রথমে স্নাতক চতুর্থ বর্ষের ১ম সেমিস্টার ও স্নাতকোত্তরের পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।এছাড়াও পরিকল্পনা অনুযায়ী পরবর্তীতে ধাপে ধাপে সকল বর্ষের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গিয়েছে। এসময় আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের করোনা পরীক্ষা করিয়ে হলে থাকার অনুমতি দেওয়া হবে। কতৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করেই এই সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের এক মিটিংয়ে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গিয়েছে। একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত মতে, যারা আবাসিক শিক্ষার্থী তাদের ২০ জুনের পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোম সেন্টার থেকে করোনা টেস্ট করিয়ে আগামী ২৫ জুন হল এ প্রবেশ করানো হবে। আবাসিক শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী সাথে নিয়ে হল এ প্রবেশ করতে হবে। এছাড়াও হল এ অবস্থান কালে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেইট এর বাহিরে যেতে পারবে না। কারণ করোনা মহামারীর কারণে সকলকে সবকিছু মেনে চলতে হবে।
অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা বাইরে মেস এ থেকে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করবে বলে জানানো হয়েছে।এছাড়াও পরিকল্পনা অনুযায়ী পরীক্ষার সময় সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আবাসিক এবং অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের আলাদা আলাদা রুম এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। একই সাথে সকল শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া হবে না। যবিপ্রবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা নতুন বর্ষের শিক্ষার্থী ভর্তি করানোর আগে সকল বর্ষের পরীক্ষা সম্পন্ন করবো। যেহেতু স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বশরীরে পরীক্ষা নেওয়া হবে, তাই একসাথে সকল বর্ষের পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয়।
তাই পরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা ধাপে ধাপে সকল বর্ষের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত করবো। তিনি আরও বলেন যেহেতু স্বশরীরে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে, এসময় কোন শিক্ষার্থীকে যদি সহযোগিতার প্রয়োজন হয় সেটাও আমরা করবো। শিক্ষার্থীদের কোন প্রকার সহযোগিতা লাগলে কতৃপক্ষকে জানালে তারা সাহায্য করবেন বলে আশা দিয়েছেন। এছাড়াও জানানো হয় করোনা পরিস্থিতির অবনতি হলে তিনি বলেন, একসাথে কমপক্ষে ১০০ জন শিক্ষার্থীকে চিকিৎসা দেওয়ার মত সক্ষমতা আমাদের আছে। এছাড়াও আমাদের মেডিকেল টিম সহ সব কিছু প্রস্তুত আছে করোনা মহামারীর সাথে যুদ্ধ করার জন্য।
তবে এমন যদি হয় বিশ্ববিদ্যালয় খোলা রাখা আর সম্ভব হচ্ছে না করোনা মহামারীর কারণে, তখন অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার সক্ষমতা ও আমাদের আছে।করোনা পরিস্থিতি যদি খারাপ হয় তাহলে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার কথা যবিপ্রবি কতৃপক্ষ জানিয়েছে। কারণ দীর্ঘ সময় ধরে সবকিছু বন্ধ রয়েছে এভাবে আর সময় নষ্ট করা সম্ভব না। করোনা মহামারীর সাথে লড়াই করেই আমাদের বাঁচতে শিখতে হবে।আর করোনা পরিস্থিতি যদি খুবই খারাপ হয় তাহলে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হলে সেটা জানিয়ে দেওয়া হবে।
এছাড়াও শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন ধরনের তথ্য পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।