জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স ২য় ও ৩য় বর্ষে মৌখিক অথবা অনলাইন পরীক্ষা নিয়ে প্রোমোশন
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স ২য় ও ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থীদের মৌখিক অথবা অনলাইন পরীক্ষার মাধ্যমে পরবর্তী বর্ষে উত্তীর্ণ করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। কারণ বর্তমান বিশ্বে মহামারী করোনার কারণে সবকিছু পিছিয়ে গেছে। এক কথায় মানুষের জীবনযাত্রার মান অনেক টায় কষ্টের হয়ে গেছে। এখন চাকরি পাওয়া সত্যি অনেক মুশকিল।এমনিতেই আমাদের দেশে চাকরির অনেক মারাত্মক ভাবে অভাব। তারপরেও জীবনের এ লড়াইয়ে লড়তে হবে এবং সফলতা অর্জন করতে হবে বা ছিনিয়ে আনতে হবে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসাইন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তিন বছর আগে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা এখনও অনার্স প্রথমবর্ষেই রয়েছেন। এছাড়াও দীর্ঘ ১৫ মাস শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের জীবন আর স্বাভাবিক নেই।তথ্য অনুযায়ী আশার বাতির মতো জানা গিয়েছে যে এই অবস্থায় তাদের শর্তসাপেক্ষে দ্বিতীয়বর্ষে উত্তীর্ণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে সে সকল শিক্ষার্থীকে অনার্স শেষ করার আগে প্রথমবর্ষের বিষয়গুলোর পরীক্ষায় পাস করতে হবে।
এছাড়াও জানা গিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স ২য় ও ৩য় বর্ষে শিক্ষার্থীদের অনলাইনে পরীক্ষা বা ভাইভার মাধ্যমে পরবর্তী বর্ষে উত্তীর্ণ করার চিন্তাভাবনা চলছে। কারণ করোনার কারণে দীর্ঘ সময় ধরে সবকিছু বন্ধ রয়েছে।এমন সিদ্ধান্ত কে সকল শিক্ষার্থীরা সাধুবাদ জানাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। কারণ শিক্ষার্থীরা মাসের পর মাস বছরও পার হয়ে গেছে তাও তারা তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে নাই। তারা ক্লাস,পড়াশোনা ও পরীক্ষা সবকিছু থেকে অনেক দূরে চলে যাচ্ছে মহামারী করোনার কারণে। তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে শীঘ্রই প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
তবে এ পদ্ধতিকে ‘অটোপাস’ বলা যাবে না বলে জানিয়েছেন মোল্লা মাহফুজ আল-হোসাইন। কারণ অটো পাস এক পদ্ধতি আর এটা ভিন্ন পদ্ধতি। মৌখিক বা অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার মাধ্যমে পরবর্তী বর্ষে উত্তীর্ণ করার পরিকল্পনা চলছে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মশিউর রহমান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমরা শর্তসাপেক্ষে প্রথমবর্ষের ছাত্র-ছাত্রীদের অটোপাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমরা সশরীরে পরীক্ষা নেব সে সকল শিক্ষার্থীদের। তখন অটোপাস পাওয়া শিক্ষার্থীদের সেসব পরীক্ষায় পাস করতে হবে।\
এই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করলে শিক্ষার্থীরা সবকিছু থেকে আর পিছিয়ে থাকবে না বলে আশা করা যাচ্ছে। তিনি আরোও বলেন, দ্বিতীয় ও তৃতীয়বর্ষের শিক্ষার্থীদের বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।তবে আমরা কয়েকটি বিকল্প পদ্ধতি এবং পরিকল্পনার কথা ভাবছি। এর মধ্যে একটি হলো- মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমোশন দেয়া। আরেকটি হলো- অনলাইন পরীক্ষার মাধ্যমে মূল্যায়ন করা। তবে বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি বলে জানা গিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত টা চূড়ান্ত হলে শিক্ষার্থীরা অনেকটাই স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারবে। কারণ দীর্ঘ ১৫ মাস তারা পিছিয়ে গিয়েছে সবকিছু বন্ধ থাকায় সেটা একটু হলেও রিকোভার হয়ে যাবে। বার বার নানা পরিকল্পনা করার পরেও শিক্ষার্থীদের জীবন স্বাভাবিক করা যাচ্ছে না এই মহামারী করোনার কারণে।
এবার দেখা যাক দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষার্থীদের লস কতটুকু রিকোভার করা সম্ভব হয়। এরকম সিদ্ধান্ত এবং পরিকল্পনার জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষকে স্বাগত জানাই সকল শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা বিষয়ক তথ্য পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।