কারাগারে দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা
তথ্য মতে জানা গিয়েছে কারাগারে দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা। তথ্য অনুযায়ী জানা যায় পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা।উনার বর্তমানে বয়স ৭৯ বছর।এর পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয় বলে জানা যায়। জ্যাকব জুমা ১৯৪২ সালের ১২ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন।তিনি তার এলাকার একজন বিশিষ্ট রাজনীতিবীদ।
এছাড়াও তিনি বর্ণ বৈষম্য নীতির বিপক্ষে অবস্থান করেছিলেন।জ্যাকব জুমার বাবা ছিলেন একজন পুলিশ আর মা ছিলেন একজন গৃহকর্মী।এছাড়াও জানা যায় অনেক ছোট যখন জ্যাকব জুমা তখনই তার বাবা মৃত্যু বরণ করেন। তথ্য মতে জানা যায় স্থানীয় সময় বুধবার (৭ জুলাই) রাতে দেশটির কোয়া-জুলু নাটাল প্রদেশে নিজের বাসভবনের কাছেই একটি কারাগারে এ দণ্ড ভোগ করতে যান তিনি।তিনি আত্মসমর্পণ করেন।
পরে তার আত্মসমর্পণের খবর জুমা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানা যায়। এছাড়াও তার এই আত্মসমর্পণের খবর বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) বিবিসিসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ খবর জানিয়েছে।তিনি নিজেই আত্মসমর্পণ করেন পুলিশের কাছে বলে জানা গিয়েছে।
তাছাড়া এর আগে জ্যাকব জুমাকে এ দিন রাতের মধ্যে আত্মসমর্পণের আল্টিমেটাম দেওয়া হয় পুলিশের পক্ষ থেকে।সে কারণে তিনি নিজেই আত্মসমর্পণ করেন পুলিশের কাছে। তিনি ক্ষমতায় থাকতেই তার নামে দুর্নীতি অভিযোগ উঠেছিলো এবং এই অভিযোগের তদন্তও চলছিলো।আর এটা তদন্ত করছিলেন দেশটির উপ-প্রধান বিচারপতি রেমন্ড জোনডো।পরে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তদন্তের জন্য জুমাকে তলব করা হয়েছিলো।
কিন্তু ওই তলবে জ্যাকব জুমা আদালতে হাজির হননি।এজন্য আদালত অবমাননার দায়ে জ্যাকব জুমাকে এ দণ্ড দেওয়া হলো। জুমার মতে, চলমান মহামারি করোনার মধ্যে তিনি কারাগারে গেলে তা তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেবে।এদিকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার বলে দাবি করে আসছেন জ্যাকব জুমা। জ্যাকব জুমা বলে এই মহামারী করোনার ভেতরে আদালতে যাওয়া সম্ভব না এর ভেতরে আদালতে যাওয়া মানে নিজের জীবন বাজি রাখা।
এছাড়াও তিনি দুঃখের সাথে বলেছেন রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করা হয়েছে তার নামে এগুলো। চলতি বছরের ২৯ জুন আদালত অবমাননার দায়ে জুমার ১৫ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয় বলা জানা যায়।এরপর থেকে জুমা গ্রেফতার ঠেকাতে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিচ্ছিলেন।পরে পুলিশ আল্টিমেটাম দেয় জ্যাকব জুমার জন্য পরে অবশেষে বুধবার রাতে তিনি নিজেই পুলিশের কাছে ধরা দেন।সাবেক ওই প্রেসিডেন্টকে কারাগারে পাঠানোর মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকারবাসী এক নতুন ইতিহাসের সাক্ষী হলো বলে সবাই মনে করেন।
যেকোনো দূর্নীতি করে হয়তোবা সাময়িক লাভবান হওয়া যায় কিন্তু আসলে পরে সেটা প্রকাশিত হলে চরম ক্ষতিগ্রস্থ হতে হয়।সুতরাং আমাদের সকলের উচিত সকল প্রকার দূর্নীতি থেকে নিজে মুক্ত থাকা এবং অন্যদের কে মুক্ত থাকতে সাহায্য করা। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের চাকরির তথ্য এবং শিক্ষা বিষয়ক তথ্য পেতে আমাদের সাথেই থাকুন সবসময়।