টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন শুরু শিক্ষার্থীদের
টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন শুরু শিক্ষার্থীদের। করোনা মহামারীর কারণে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপন আর নেই।মানুষের স্বপ্ন হয়ে গেছে কষ্ট,জীবন যুদ্ধে বেঁচে থাকা হয়ে গিয়েছে কষ্ট।করোনা মহামারীর কারণে দীর্ঘ ১৬ মাস ধরে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রয়েছে।ফলে শিক্ষার্থীদের জীবনযাপন হয়ে গেছে অস্বাভাবিক।বর্তমান বিশ্বে মহামারী করোনার কারণে সবকিছু পিছিয়ে গেছে।
এক কথায় মানুষের জীবনযাত্রার মান অনেক টায় কষ্টের হয়ে গেছে।এখন চাকরি পাওয়া সত্যি অনেক মুশকিল।এমনিতেই আমাদের দেশে চাকরির অনেক মারাত্মক ভাবে অভাব।তারপরেও জীবনের এ লড়াইয়ে লড়তে হবে এবং সফলতা অর্জন করতে হবে বা ছিনিয়ে আনতে হবে।তথ্য অনুযায়ী আশার বাতির মতো জানা গেছে টিকার জন্য রেজিষ্ট্রেশন শুরু হয়েছে শিক্ষার্থীদের।
তথ্য মতে জানা গিয়েছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাসের টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে নিবন্ধনের এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চিঠি টিতে বলা হয়েছে, টিকা নিতে যেসব আবাসিক শিক্ষার্থীর তালিকা (সঠিক এনআইডি নম্বরসহ) বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমআইএস ডিজিএইচএস-এ পাঠানো হয়েছিল, সেসব শিক্ষার্থীরা এখন থেকে সুরক্ষা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে পারবেন।
এভাবে পর্যায়ক্রমে সকলকে টিকার আওতায় আনা বলেও জানা যায়।এছাড়াও জানা যায়, বর্তমানে দেশের ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আছে।টিকার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন থেকে নিবন্ধন করতে হবে। এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মোট ২২০টি আবাসিক হল রয়েছে।এর ভেতরে ছেলেমেয়ে সকল শিক্ষার্থীর হল রয়েছে।যেখানে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার বলে জানা গিয়েছে।
এছাড়াও শিক্ষার্থীদের টিকা নিতে কোন প্রকার সমস্যা হলে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষের কাছে জানাতে হবে।কারণ সকল শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। এছাড়াও অনেকের তথ্য মতে জানা যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অনেকের বয়স ১৮ বছরের নিচে হওয়ায় তাদের এনআইডি নেই।
ফলে তারা টিকা নিবন্ধের জটিলতায় পড়েছেন।এমন জটিলতায় পড়লে নিজ জেলা বা নিজ স্থান থেকে টিকা নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষের সাথে কথা বললে হয়তোবা তারা এনআইডি কার্ড ছাড়ায় শিক্ষার্থীদের কার্ডের মাধ্যমেই টিকা দেওয়ার চেষ্টা করেবে।এছাড়াও এ বিষয়ে একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন বলে জানা যায়।
তারা অভিযোগে বলেন, যেসব শিক্ষার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্র আছে শুধুমাত্র তারাই রেজিস্ট্রেশন ও টিকা নিতে পারবেন।তাদের প্রশ্ন তাহলে আমরা কীভাবে টিকা নেব? এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।তবে সকল শিক্ষার্থীদেরকে টিকার আওতায় আনা হবে যতো দ্রুত সম্ভব।এছাড়াও যেসকল শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনেক দূরে থাকে তারা যদি নিজ চেষ্টায় নিজ জেলায় টিকা নিতে পারে তাহলে অনেক ভালো হবে।
টিকা আসার পরে সব জেলাতে দেওয়া হবে।সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা যদি সম্ভব হয় তাহলে নিজ জেলা থেকে টিকা নিয়ে নিবে।আর বর্তমানে করোনা মহামারীর অবস্থা খুবই ভয়ংকর এবং খারাপ।এ পরিস্থিতিতে কোন পরিকল্পনা করে সে অনুযায়ী কাজ করা অসম্ভব হয়ে যাচ্ছে।আমাদের সকলের উচিত এই মহামারীর হাত থেকে নিজেকে বাঁচার জন্য এবং সকলকে বাঁচানোর জন্য জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাসা থেকে বের না হওয়া।
আর জরুরি কাজে বের হলে মাস্ক পরিধান করা এবং সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা।করোনা যুদ্ধে আমাদের জয় লাভ হয়তোবা একদিন হবে কিন্তু যারা এ যুদ্ধে মৃত্যু বরণ করছেন তাদের আর খুঁজে পাওয়া হবে না।
এছাড়াও শিক্ষা এবং চাকরির বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের তথ্য পেতে আমাদের সাথেই থাকুন সবসময়।