সারাদেশে ১৪ দিনের ‘শাটডাউনের’ সুপারিশ
সারাদেশে ১৪ দিনের ‘শাটডাউনের’ সুপারিশ করা হয়েছে। দীর্ঘ ১৬ মাসের মতো সবকিছু বন্ধ রয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা,ক্লাস,পরীক্ষা সবকিছুই বন্ধ রয়েছে।এছাড়াও করোনা মহামারীর কারণে মানুষের জীবন যাত্রার মানও পিছিয়ে গিয়েছে।মানুষ বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেক কষ্টে জীবনযাপন করছে।অনেকে হারিয়েছে চাকরি অনেক কোম্পানি হয়েছে দেউলিয়া এই করোনা মহামারীর কারণে। আমাদের দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা এমনিতেই খুব একটা ভালো।এছাড়াও তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট আরো শক্তিশালী।
এছাড়াও এরই মধ্যে বাংলাদেশের অনেক জায়গায় এই ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট সামাজিক সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। এই করোনা মহামারীর কারণে অনেক মানুষ আগে যারা মাস শেষে সঞ্চয় করতো টাকা তারা এখন ৩ বেলা খেয়ে পড়ে বাঁচা মুশকিল হয়ে গেছে। বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের অবস্থা বর্তমানে খুবই খারাপ। সেজন্য করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সারাদেশে ১৪ দিনের ‘শাটডাউনের’ সুপারিশ করেছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।
এমনিতেই করোনা মহামারীর কারণে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় চলছে লকডাউন।কিন্তু লকডাউনেও পরিস্থিতি স্বাভাবিকে আনা সম্ভব হচ্ছে না। বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) কোভিড-১৯ কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মােহাম্মদ সহিদুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে যে ১৪ দিনের শাটডাউন করা হোক দেশে। এতে বলা হয়েছে, দেশে কোভিড-১৯ রােগের ভারতীয় ডেল্টা ধরনের সামাজিক সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে।
আর বিভিন্ন জায়গায় ইতােমধ্যে এর প্রকোপ অনেক বেড়েছে। এ প্রজাতির জীবাণুর সংক্রমণ ক্ষমতা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য বিশ্লেষণে সারাদেশেই উচ্চ সংক্রমণ, পঞ্চাশটির বেশি জেলায় অতি উচ্চ সংক্রমণ লক্ষ্য করা গেছে বলে জানানো হয়েছে। এটি প্রতিরােধে খণ্ড খণ্ডভাবে নেওয়া কর্মসূচির উপযােগিতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। আমাদের দেশের ঢিলেঢালা লকডাউনের মাধ্যমে এ পরিস্থিতি স্বাভাবিকে আনা অসম্ভব। অন্যান্য দেশ, বিশেষত পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের অভিজ্ঞতা হলো, কঠোর ব্যবস্থা ছাড়া এর বিস্তৃতি প্রতিরােধ করা সম্ভব নয়।ভারতে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের পরেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক আনা সম্ভব হয়ে উঠছে না।
সুতরাং আমাদের এখনিই সাবধান হতে হবে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিকে আনার জন্য কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করগে হবে। ভারতের শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও এ বিষয়ে আলােচনা হয়েছে বলে জানানো হয়।এই বিষয়ে তাদের মতামত অনুযায়ী, যেসব স্থানে পূর্ণ ‘শাটডাউন’ প্রয়ােগ করা হয়েছে সেখানে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা গেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে রােগের বিস্তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া ঠেকাতে এবং জনগণের জীবনের ক্ষতি প্রতিরােধে কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে সারাদেশে কমপক্ষে ১৪ দিন সম্পূর্ণ ‘শাটডাউন’ দেওয়ার সুপারিশ করছে।
এতে বলা হয়, জরুরি সেবা ছাড়া যানবাহন, অফিস-আদালতসহ সবকিছু বন্ধ রাখা প্রয়ােজন। এ ব্যবস্থা কঠোরভাবে পালন করতে না পারলে আমাদের যত প্রস্তুতিই থাকুক না কেন স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অপ্রতুল হয়ে পড়বে।আর আমাদের এখনিই কঠোর ব্যবস্থা না নিলে সবকিছুর লাগাম হারিয়ে যাবে ফলে পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিকে আনা বা রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া কোনভাবেই সম্ভব হয়ে উঠবে না। এছাড়াও বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন সংগ্রহের জন্য সর্বাত্মক উদ্যোগ নিয়েছেন।
এজন্য সভায় তাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়। এ রােগ থেকে পূর্ণ মুক্তির জন্য ৮০ শতাংশের বেশি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া প্রয়ােজন। বিদেশ থেকে টিকা সংগ্রহ, লাইসেন্সের মাধ্যমে দেশে টিকা উৎপাদন করা এবং নিজস্ব টিকা তৈরির জন্য সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে গবেষণার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টার প্রতি কমিটি পূর্ণ সমর্থন জানায়। আর ১৪ দিনের শাটডাউনের বিষয়ে আরো তথ্য পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।