Admission

অটোপাস পাচ্ছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

অটোপাস পাচ্ছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘ ১৫ মাস ধরে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে বন্ধ। বর্তমান বিশ্বে মহামারী করোনার কারণে সবকিছু পিছিয়ে গেছে। এক কথায় মানুষের জীবনযাত্রার মান অনেক টায় কষ্টের হয়ে গেছে। মহামারী করোনার কারণে অনেকেই হারিয়েছে চাকরি অনেককেই হারিয়েছে স্বাভাবিক জীবনযাপন। এখন চাকরি পাওয়া সত্যি অনেক মুশকিল।

এমনিতেই আমাদের দেশে চাকরির অনেক মারাত্মক ভাবে অভাব।তারপরেও জীবনের এ লড়াইয়ে লড়তে হবে এবং সফলতা অর্জন করতে হবে বা ছিনিয়ে আনতে হবে। তথ্য অনুযায়ী আশার বাতির মতো জানা গেছে দীর্ঘ ১৫ মাস শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পরে এখন অটোপাস পাচ্ছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এবং এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যারয় কর্তৃপক্ষ। এই ছাড়া কতৃপক্ষেরও তেমন উপায় নাই কারণ করোনা মহামারী সবকিছু অস্বাভাবিক করে দিয়েছে।

তবে এক্ষেত্রে কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আর স্নাতক দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের অটোপাসের বিষয়ে সিদ্ধান্ত না হলেও মৌখিক অথবা অনলাইন পরীক্ষার মাধ্যমে পরবর্তী বর্ষে উত্তীর্ণ করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গিয়েছে। আর এরকম সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত কারণ শিক্ষার্থীরা আর কতোদিন বসে থাকবে একই বর্ষে। সূত্র অনুযায়ী জানা যায়, প্রায় তিন বছর আগে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা এখনও অনার্স প্রথম বর্ষেই রয়েছেন। এই অবস্থায় তাদের শর্তসাপেক্ষে দ্বিতীয় বর্ষে উত্তীর্ণ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এক্ষেত্রে ওই শিক্ষার্থীকে অনার্স শেষ করার পূর্বে প্রথম বর্ষের বিষয়গুলোর পরীক্ষায় পাস করতে হবে। আর দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের অনলাইনে পরীক্ষা অথবা ভাইভার মাধ্যমে পরবর্তী বর্ষে উত্তীর্ণ করা চিন্তাভাবনা চলছে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মশিউর রহমান মঙ্গলবার (১৫ জুন) বিকেলে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমরা শর্তসাপেক্ষে প্রথম বর্ষের ছাত্র-ছাত্রীদের অটোপাস দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমরা সশরীরে পরীক্ষা নেব। তখন অটোপাস পাওয়া শিক্ষার্থীদের সেসব পরীক্ষায় পাস করতে হবে।

এছাড়াও তিনি বলেন, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। তবে আমরা কয়েকটি বিকল্প পদ্ধতির কথা ভাবছি কারণ করোনার কারণে সকল শিক্ষার্থীদের জীবন ধারা উল্টো পাল্টা হয়ে গেছে। এর মধ্যে জানা গিয়েছে একটি হলো মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমোশন দেয়া। আরেকটি হলো অনলাইনে পরীক্ষার মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হবে। তবে বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি। ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে অধ্যাপক মশিউর রহমান আরও বলেন, করোনার কারণে আমরা স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ রেখেছি।

ভর্তি প্রক্রিয়া অনলাইনে করা হলেও ভর্তি ফি’র টাকা কলেজে গিয়ে জমা দিতে হয়। ফলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ঝুঁকির মধ্যে পরার একটা সম্ভাবনা দেখা দেয়। আমরা তাদের কোনো প্রকার ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে চাইনা।জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কতৃপক্ষকে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য কারণ সকল শিক্ষার্থীরা সবকিছু থেকে অনেক পিছিয়ে যাচ্ছে এবং পিছিয়ে যাচ্ছে তারা তাদের স্বাভাবিক জীবন থেকে।

সকল পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ চলার কথা থাকলেও করোনা সবকিছু পিছিয়ে দিচ্ছে।জাতীয় বিশ্বিবদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দীর্ঘ সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে এবং মহামারী করোনার কারণে অটোপাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়াও শিক্ষা বিষয়ক যেকোনো তথ্য পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Adblock Detected

Please Disable your AdBlocker.